মার্চ ৬, ২০২২
খাজরায় বাড়িতে বাড়িতে সবজির ক্ষেত সুফল পাচ্ছেন কৃষক ও সাধারণ মানুষ
নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের পল্লীতে দিন দিন প্রত্যেক বাড়িতে কম বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার সবজির ক্ষেত। ফলে সুফল পাচ্ছেন ছোট বড় কৃষক ও সাধারণ মানুষ। নতুন নতুন ফসল ফলানোর আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে। রবিবার(৬ মার্চ) ইউনিয়নের দূর্গাপুর,দেয়াবর্ষিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,ছোট ছোট ক্ষেত,মৎস্য ঘেরের আইলে,নেট জাল টাঙিয়ে অথবা খুটি দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ো। কেউবা প্লাস্টিকের ড্রামে মাটি ভরেও লাউ চারা রোপন করে গাছ উঠিয়ে দিচ্ছে ঘরের চালে। স্থানীয় এসব পরিবার কমবেশি সবজি চাষ করে বার মাস। বাড়ির উঠান বা খালি জায়গা, জমির পাশের উঁচু স্থান, আইল, টিনের চাল এবং পুকুরে মাচা দিয়ে কৃষকেরা সবজির চাষ করছেন। ফলে মোট কৃষিজমির পরিমাণ কমলেও সবজি চাষ বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটছে অনেকটা বাজারে না গিয়েও।
এসব সবজির মধ্যে করলা, টমেটো, পেঁপে, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, লাউ, কচুরমুখী, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, শসা, চিচিঙ্গা, লালশাক, পুঁইশাক, বাঁধাকপি, কাঁচামরিচ, ঝিঙা ,কলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বছর দুয়েক শুরু হয়েছে আগাম ও মৌসুমী তরমুজ চাষ। স্থানীয় খাজরা,চেউটিয়া,তুয়ারডাঙ্গা কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে জানা যায়,এ সমস্ত বাজারে বিগত বছর গুলোতে পাশ^বর্তী কপিলমুনি ও আঠারো মাইল থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারী সবজি ক্রয় করে খুচরা পর্যায়ে বাজার গুলোতে বিক্রি করত । বর্তমানে সবজির আমদানী অনেকাংশে কমে গেছে। আরও লক্ষ্য করা যায়,অন্য জেলার সবজির চেয়ে স্থানীয় কৃষকদের সবজি খাজরার বাজার গুলোতে অনেক দাম দিয়ে কিনতে দেখা যায়। ক্রেতারা জানান,গ্রাম পর্যায়ে কম রাসায়নিক সার ব্যবহার করে উৎপাদিত এসব সবজি খেতেও স্বাদ। তাই দাম বেশী হলে আমরা ক্রয় করি। খাজরায় কৃষি বিপ্লব সৃষ্টির বাধা হিসেবে দেখা যায়,আশপাশের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে লবন পানির মৎস্য ঘের। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা। ফলে নানা প্রতিবন্ধকতায় পিছিয়ে পড়ছে এই খাত। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে ফল ও সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর পরিকল্পনা আশাশুনি কৃষি অফিসের সুদৃষ্টি প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
সবজি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উন্নত বীজ, কীটনাশক ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা দেওয়া গেলে এই অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। রবিবার(৬ মার্চ) ইউনিয়নের দূর্গাপুর,দেয়াবর্ষিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,ছোট ছোট ক্ষেত,মৎস্য ঘেরের আইলে,নেট জাল টাঙিয়ে অথবা খুটি দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ো। কেউবা প্লাস্টিকের ড্রামে মাটি ভরেও লাউ চারা রোপন করে গাছ উঠিয়ে দিচ্ছে ঘরের চালে। স্থানীয় এসব পরিবার কমবেশি সবজি চাষ করে বার মাস। বাড়ির উঠান বা খালি জায়গা, জমির পাশের উঁচু স্থান, আইল, টিনের চাল এবং পুকুরে মাচা দিয়ে কৃষকেরা সবজির চাষ করছেন। ফলে মোট কৃষিজমির পরিমাণ কমলেও সবজি চাষ বেড়েছে। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটছে অনেকটা বাজারে না গিয়েও।
এসব সবজির মধ্যে করলা, টমেটো, পেঁপে, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, লাউ, কচুরমুখী, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, শসা, চিচিঙ্গা, লালশাক, পুঁইশাক, বাঁধাকপি, কাঁচামরিচ, ঝিঙা ,কলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বছর দুয়েক শুরু হয়েছে আগাম ও মৌসুমী তরমুজ চাষ।
খাজরায় কৃষি বিপ্লব সৃষ্টির বাধা হিসেবে দেখা যায়,আশপাশের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে লবন পানির মৎস্য ঘের। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা। ফলে নানা প্রতিবন্ধকতায় পিছিয়ে পড়ছে এই খাত। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করে ফল ও সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর পরিকল্পনা আশাশুনি কৃষি অফিসের সুদৃষ্টি প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা মনে করেন। 8,382,364 total views, 2,109 views today |
|
|
|